তাহিরপুর সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় দাওয়া বিলে গত বৃহস্পতিবার নৌকা ডুবির ঘটনায় শিশু সহ ৪জন নিখোঁজের মধ্যে সর্বশেষ জুমা বেগমের লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। রোববার সকালে ঘটনাস্থল থেকে ৫কিলোমিাটার দূরে তার লাশ ভাসতে দেখে পুলিশ কে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। নিহত জুমা বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর গ্রামের সোনা মিয়ার মেয়ে। এ নিয়ে নৌ দূঘটনায় নিখোঁজ ৪জনের লাশ পৃথক পৃথক স্থান থেকে ৫দিনের ব্যবধানে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া অন্যান্য লাশ গুলো হল,ফতেহপুর ইউনিয়নের পাচঁগাও গ্রামের নেহের জামালের মেয়ে তানহা বেগম (১২),একেই গ্রামের সাজনা বেগম (৫),তাহিরপুর উপজেলার চিকসা গ্রামের বাসিন্দা হারুন রশিদ (৪৮)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,গত বৃহস্পতিবার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফহেতপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর থেকে তাহিরপুর উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিনকুল গ্রামের শফিকুল ইসলামের বাড়ী থেকে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথে মধ্যে ধাওয়া বিলে যাওয়া মাত্রই দমকা হাওয়ার সাথে প্রচন্ড ডেউয়ের কবলে পড়ে প্রায় ৪০জন যাত্রীসহ ইঞ্জিন চালিত নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকার অন্যান্য যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ঐ দিন ৪জন যাত্রী নিখোঁজ ছিল বলে জানান,এসআই আমির হোসেন। ঐ দিন ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী ও উদ্ধারকারী ফহেতপুর শাহপুর গ্রামের বাসিন্ধা আসাদ হোসেন কাগজী জানান,ঐ দিন আমি মটর সাইকেল দিয়ে আনোয়ারপুর থেকে ফতেহপুর যাওয়ার পথে দেখতে পাই একটি নৌকা ডুবে যাচ্ছে। সাথে সাথে রাস্তার পাশে থাকা একটি ছোট নৌকা নিয়ে উদ্ধার করতে যাই। নৌকার যাত্রীদের চিৎকারে শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে। তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর এঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন।